পরিবেশ দূষণ
বিষয়ঃ অনুচ্ছেদ
শ্রেণিঃ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১
একসময় পৃথিবীর পরিবেশ ছিল মানুষের অনুকূলে। তখন বায়ুমণ্ডলে ছিল প্রাণের বন্ধু অফুরন্ত অক্সিজেন, খাদ্য ও পানিতে ছিল সতেজ বিশুদ্ধতা ও পুষ্টি। মানুষ জীবনযাপনকে আরও উন্নত, আরও সুন্দর করার প্রত্যাশায় নির্বিচারে অবােধ-অসহায় প্রকৃতির ওপর চালায় কুঠারাঘাত, আবিষ্কার করে নতুন নতুন জিনিস। পরিবেশ দূষণ হচ্ছে প্রাকৃতিক ব্যবস্থার কোনাে একটি বা একাধিক অবস্থার বিঘ্নিত রূপ। পানি, বাতাস ও মাটিসহ পরিবেশের কোনাে উপাদানের যখন এমন কোনাে ভৌত রাসায়নিক জৈবিক বা তেজস্ক্রিয় পরিবর্তন ঘটে যা প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষভাবে তাৎক্ষণিক বা পরবর্তীতে জীবজগতের ওপর নেতিবাচক ও ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে তখন পরিবেশ দূষণ দেখা দেয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের পাশাপাশি অসংখ্য শিল্পকারখানা গড়ে ওঠে। নগর জীবনের প্রাচুর্যে যানবাহনের অধিক্য দেখা দেয় রাজপথে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে বর্ধিত খাদ্য উৎপাদনের প্রয়ােজনীয়তা দেখা দেয়। ফলে কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। এভাবে সভ্যতার বিচিত্র বিকাশের পাশাপাশি পরিবেশও বিচিত্র এবং ব্যাপকভাবে দূষিত হয়। পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ হলাে জনসংখ্যা বৃদ্ধি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদের উপর চাহিদার চাপ পড়েছে প্রচণ্ডভাবে। নির্বিচারে বন উজাড়ের ফলে পরিবেশ ব্যাপকভাবে দূষিত হচ্ছে। বনশূন্যতার ফলে দেখা দিচ্ছে অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টিসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। অধিকাংশ শিল্পকারখানা নদীর তীরে স্থাপিত হওয়ায় বর্জ্য সামগ্রী নদীতে পতিত হচ্ছে। ফলে পানি দূষণ হচ্ছে।
বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলাে একের পর এক নতুন নতুন অস্ত্র তৈরি করছে এবং সেগুলাের পরীক্ষা চালাতে গিয়ে সৃষ্টি করছে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়। এছাড়া গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া (Greenhouse effect) , আর্সেনিক দূষণ, মাটি দূষণ প্রভৃতির কারণেও পরিবেশ দূষিত হয়। পরিবেশ দূষণের পরিণাম খুবই ভয়াবহ। পরিবেশ দূষণ প্রতিরােধে প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হয়। জীবন ও পরিবেশ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সুতরাং সুস্থ জীবনের জন্য চাই সুস্থ পরিবেশ।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

Thanks, This side is very helpful for every students.
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আশা করি সাথেই থাকবেন।