এইডস
বিষয়ঃ অনুচ্ছেদ
শ্রেণিঃ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১
এইডস ইংরেজি (AIDS) এর বাংলা প্রতিরূপ। বিজ্ঞানের চরম সাফল্যের যুগে মানুষকে থমকে দিয়েছে যে রােগটি তা হলাে ঘাতক ব্যাধি ‘এইডস’। ১৯৫৯ সালে প্রথম ব্রিটেনের এক ব্যক্তির রক্তে এইডস ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। AIDS-এর পূর্ণ নাম- ‘Acquiered Immune Deficiency Syndrome’। এ রােগের ভাইরাসকে বলা হয় ‘Human Immune Deficiency Virus’ সংক্ষেপে HIV। এ ভাইরাস মানবদেহে প্রবেশ করলে দেহের রােগ প্রতিরােধ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে থাকে এবং সময় একবারে নিঃশেষ হয়ে যায়। ফলে মানুষে পতিত হয় নিশ্চিত মৃত্যুমুখে। মহামারি এইডস-এর প্রধান কারণে হচ্ছে অবাধ যৌনাচার। এইডস রােগে আক্রান্ত কোনাে নারী বা পুরুষের রক্ত শরীরে গ্রহণকারীও এ রােগে আক্রান্ত হয়। এইডসে আক্রান্ত ব্যক্তির বিভিন্ন উপসর্গ প্রকাশ পায়। হঠাৎ করে শরীরের ওজন ১০ শতাংশের বেশি কমে যাওয়া।
এক দশকের ব্যবধানে এইডস দাবানলের মতাে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বময়। দক্ষিণ আফ্রিকার শতকরা ১১ ভাগ মানুষ এ রােগে আক্রান্ত। ২০১৭ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বব্যাপী এইডস রোগে মোট আনুমানিক ৩ কোটি ৫০ লক্ষ লোক মারা গেছে। বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষের যুগেও মানুষের চরম ব্যর্থতা রােগের ভাইরাস আছে কি না জেনে নিলে, ইঞ্জেকশন নেওয়ার সময় ডিসপােজ্যাবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করলে এ রােগের ঝুঁকি অনেকটা কমে যাবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। এইডস রােগ সম্পর্কে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন আবশ্যক।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
