সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা – ভাবসম্প্রসারণ লিখন ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ শ্রেণী
মূলভাব
সততা ব্যক্তিচরিত্রের মহৎ গুণ। সততা মানুষকে বিশ্বাসভাজন ও শ্রদ্ধাশীল করে। কর্মক্ষেত্রে একমাত্র সততার দ্বারাই প্রতিষ্ঠা লাভ সম্ভব।
সম্প্রসারিত ভাব
ভালাে-মন্দ, সৎ-অসৎ, সত্য-মিথ্যা পাশাপাশি অবস্থান করে। জগতে সাধু ও সৎপথের লােক যেমন রয়েছে তেমনই রয়েছে মিথ্যা ও অসৎ পথের লােক। জীবনে সফলতা লাভ করতে হলে সৎপথে জীবন চালিত করার কোনাে বিকল্প। নেই। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সততার মূল্য প্রশ্নাতীত। একমাত্র একজন সৎ লােকই সবার কাছে বিশ্বস্ত ও শ্রদ্ধাভাজন হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেকে অসৎ পথে চলেও জীবনে উন্নতি সাধন করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু মনে রাখা উচিত তার এ উন্নতি সাময়িক ও ক্ষণস্থায়ী। তাসের ঘরের মতাে যেকোনাে মুহূর্তে তা ভেঙে যেতে পারে। অসৎ পথে অর্জিত সাফল্য একদিন না একদিন ধ্বংস হবেই।
তাছাড়া অসৎ পথের লােক টাকার জোরে সম্মান ও প্রতিপত্তি লাভ করলেও, মানুষ মনে মনে তাকে ঘৃণা করে। পক্ষান্তরে, সৎ পথের লােক যত দুঃখ ও দীনতার মধ্যেই জীবনযাপন করুক না কেন, মানুষের কাছে সে শ্রদ্ধার পাত্র। ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি, সমাজনীতি ইত্যাদি যেকোন ক্ষেত্রে একমাত্র সৎপথের মানুষই পরিণামে সাফল্যের স্বর্ণশিখরে আরােহণ করতে পারে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে এ কথা সহজেই অনুধাবন করা যায়। একমাত্র সততার গুণেই আমেরিকা বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহের সর্বোন্নত ও সর্বশ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে আজ বিশ্বরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেওয়ার সাহস অর্জন করেছে। ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, কবি নজরুল ইসলাম একজন অতি দরিদ্র লােক ছিলেন। কিন্তু তিনি এই দরিদ্র অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কোনাে অসৎ পথ অবলম্বন করেননি। এ কারণে বিভিন্ন অভাব-অভিযোেগ, দুঃখকষ্ট এসে বাসা বেঁধেছিল তাঁর জীবনে। কিন্তু তিনি সেসব দুঃখকষ্টকে উপেক্ষা করে অসত্যের কাছে হার না মেনে জীবনে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন এবং আজ বিশ্ববাসীর কাছে অমর হয়ে আছেন।
মন্তব্য
মানবজীবনে সততার কোনাে বিকল্প নেই। জীবনে প্রতিষ্ঠা পেতে হলে অবশ্যই সৎ হতে হবে। তাই প্রতিটি মানুষের উচিত যেকোনাে মূল্যে সৎ জীবনযাপন করা।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
