সময়ের মূল্য – রচনা | JSC SSC HSC সময়ানুবর্তিতা অথবা, সময়ের সদ্ব্যবহার ।সময়ের মূল্য রচনা for class 6 7 8 9 10 11 12
![]() |
source: istockphoto |
ভূমিকা
সুন্দর এ পৃথিবীতে মানুষের আয়ুষ্কাল সামান্য। এ সামান্য আয়ুষ্কাল মানুষকে কতই না স্বপ্ন দেখায়। ইংরেজিতে একটা কথা আছে -
Man does not live in years but indeed - মানুষ বাঁচে কর্মের মধ্যে বয়সের মধ্যে নয়।
বিশ্বজগতে অনন্তকালপ্রবাহে মানুষের জীবন নিতান্তই ক্ষণস্থায়ী। এ জীবনও মহামহিম হয়ে উঠতে পারে মানুষের মহৎ কর্মে ও অবদানে। কেউ কেউ পারে জীবনকে রঙে রঙে সাজাতে আবার কাউকে কাউকে শুধু ব্যর্থতা, অপূর্ণতা বেদনা নিয়ে চিরকালের মতো চলে যেতে হয়। এ জগৎসংসারে জয়মাল্য তাদের ভাগ্যেই জোটে যারা সময়ের কাজ সময়ে করতে পারে। সময়ের মূল্য যারা বুঝে তারাই শ্রেঠ মানুষ। মানুষের ধনসম্পদ, মান-সম্মান, স্বাস্থ্য ইত্যাদি হারিয়ে গেলে স্বীয় চেষ্টায় হয়তাে তা ফিরে পাওয়া যায়, কিন্তু সময় একবার চলে গেলে আর ফিরে আসে না। এর মূল্য অন্য কোনাে জিনিস দিয়ে পরিমাপ বা বিনিময় করা যায় না। সুতরাং, আমাদের জীবনের এই অমূল্য সম্পদ সময়কে অবহেলা করে নষ্ট করা উচিত নয়।
সময়ের মূল্য
সময় অমূল্য সম্পদ। এ পৃথিবীতে অনেক কিছুরই আর্থিক মূল্য নিরুপন করা যায়। কিন্তু সময়ের মূল্য নিরুপন করা সম্ভব না। কোনো কিছু দিয়ে সময়কে পরিমাপ করা যায় না। বহমান নদীর মতো স্বচ্ছ, সাবলীল এর প্রবহমানতা। এক মুহূর্তের জন্যেও স্থির হবার অবকাশ নেই তার। অনাদিকাল থেকে যাত্রা শুরু করে ছুটে চলছে অনন্তের পথে। মানুষের সীমাবদ্ধ জীবন এক সময় থেমে যায়, কিন্তু দুরন্ত সময় চলতেই থাকে। জৈনক ইংরেজ কবি তাই লিখেছেন -
"Time and tide wait for none"
সময়ের এ ধাবমানতার জন্যেই জীবন মানুষের কাছে এতো মূল্যবান। জন্ম ও মৃত্যুর শাসনে জীবন সদা সংকুচিত। অন্তহীন জীবন আশা করেও মানুষ তা পায় না। এখানেই জীবনের চরম ট্রাজেডি।বাংলার লোক-কবির কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে এ হাহাকার -
"এপার গঙ্গা ওপর গঙ্গা, মধ্যখানে চর "
সময়ের সদ্ব্যবহার
সময় অনন্ত, কিন্তু সীমাবদ্ধ মানুষের আয়ুষ্কাল। কাজেই প্রতিটি মুহূর্তকে যথাযথ কাজে লাগিয়ে ক্ষণস্থায়ী জীবনকে সুন্দর করে তােলা সচেতন মানুষের কাজ জীবনে উন্নতি সাধনের জন্য প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগানাে অপরিহার্য। সময়ের সদ্ব্যবহার বলতে সর্বক্ষণ কেবল কাজে নিমগ্ন থাকাই বােঝায় না। কাজের সময় কাজ, বিশ্রামের সময় বিশ্রাম এবং খেলার সময় খেলা, এটাই সময়ানুবর্তিতা Work while you work and play while you play. পরে করা হবে বলে অযথা সময়ের অপচয় করা উচিত নয়। কারণ দীর্ঘসূত্রতা হরণ করে সময়কে। নির্ধারিত সময়ের কাজ যথারীতি সম্পন্ন করলেই ক্রমশ সময়ের সদ্ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে ওঠে। সময়কে সর্বদা সৃষ্টিশীল কাজে লাগানাে উচিত। কারণ কথায় বলে, “সময়ের এক ফোঁড় , অসময়ের দশ ফোড়, পৃথিবীর উন্নত দেশগুলাের সমৃদ্ধির মূলে রয়েছে সময়ের প্রতি তাদের সচেতনতা ও সময়ের সদ্ব্যবহার করার প্রবল আগ্রহ। বিন্দু বিন্দু জল নিয়ে যেমন বিশাল সমুদ্র, কণা কণা বালু নিয়ে যেমন সুবিস্তৃত মরুভুমি, তেমনি অসংখ্য মুহূর্তের সমন্বয়ে আমাদের জীবন। তাই এ মুহূর্তগুলোকে আমরা যত সুন্দরভাবে কাজে লাগাবো আমাদের জীবন ততই সুন্দর হবে।
ছাত্রজীবনে সময়ের মূল্য
ছাত্রজীবনকে বলা যায় জীবন সংগ্রামের প্রস্তুতির সময়। এ সময়ে যেমন বীজ বপন করা হয়, ভবিষ্যতে তেমন ফলই পাওয়া যায়। অধ্যয়নই ছাত্রদের প্রধান কর্তব্য। প্রতিদিনের পড়া পরবর্তী দিনের জন্য ফেলে না রেখে যথাসময়ে শেষ করার মানসিকতা থাকতে হবে। নিয়মিত পাঠাভ্যাসের পাশাপাশি শরীরচর্চা, চরিত্র গঠন, শৃঙ্খলা ও সংযমের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কর্মজীবনে সাফল্য নির্ভর করে ছাত্রজীবনে সময়ের সঠিক মূল্যায়নের ওপর। সুতরাং, শৈশব থেকেই কাজের প্রকৃতি অনুসারে সময়ানুবর্তী হওয়া একান্ত প্রয়ােজন। ছাত্রজীবনের দৈনন্দিন কর্মসূচিকে যারা অবহেলা করে তারাই জীবনের সাফল্যের সােনার কাঠির পরশ থেকে বঞ্চিত হয়। এ প্রসঙ্গে উইলিয়াম শেক্সপিয়ার বলেছেন,
“সময়ের প্রতি যাদের শ্রদ্ধা নেই, তারাই পৃথিবীতে নিঃস্ব, বঞ্চিত ও পরমুখাপেক্ষী।”
সময়ানুবর্তিতার অন্তরায়
অধৈর্য আর আলস্যই সময়ের যথার্থ ব্যবহারের প্রধান অন্তরায়। কথায় আছে- “অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা।” কর্মক্ষমতা হরণ করে মনে কুচিন্তা অনুপ্রবেশ ঘটানাে অলস মস্তিষ্কের কাজ। সুতরাং, আলস্যকে সযত্নে পরিহার করে স্ব-স্ব আবশ্যকীয় কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে প্রাণবন্ত করে তােলা উচিত। এ প্রসঙ্গে মহামতি এডিসন যথার্থ বলেছেন-
“জীবনকে যদি উপভােগ করতে চাও, তবে আলস্যকে দূরে রাখ।”
রােগ-ব্যাধি-জরা সময়ানুবর্তী হওয়ার পথে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে; কিন্তু যথাযথ শিক্ষা ও সাধনার মাধ্যমের সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারার মধ্যেই সার্থকতা।
সময়কে কাজে লাগানাের উপায়
কর্মময় জীবনে মানুষকে বহু রকমের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হয়। জীবনে নির্দিষ্ট পরিসীমার মধ্যে এতসব দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালন করা তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। তবে কেউ যদি তার কাজের পরিমাণ বিবেচনা করে সময়কে ভাগ করে নেয়, তাহলে ঠিক সময়ে সে কাজটি সম্পন্ন করতে পারে। কাজের সময়ের পাশাপাশি অবসর সময়ও চিহ্নিত করে রাখা প্রয়ােজন। কারণ, জীবনে কাজের ফাঁকে ফাঁকে অবসর কিংবা বিনােদনের প্রয়ােজন আছে। এতে করে কাজে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। তাই অবসর কিংবা বিনােদনের সময়টুকুকে সময়ের অপচয় মনে করা যুক্তিযুক্ত নয়। তাছাড়া সময়ের কাজ সময়েই করতে হবে। যে কৃষক সময়মতাে জমিতে চাষ করে না, উপযুক্ত সময়ে আগাছা ধ্বংস করে না, প্রয়ােজন মতাে সার দেয় না- সে ফসলের আশা কী করে করতে পারে? বিশ্ব বিখ্যাত ফরাসি সম্রাট নেপােলিয়ন ওয়াটারলুর যুদ্ধে ইংরেজদের কাছে শােচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করেন।
এটিই তার জীবনের একমাত্র পরাজয়। এ পরাজয়ের কারণ, তাঁর জনৈক সেনাপতি সঠিক সময়ে সসৈন্যে যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হতে পারেননি। উক্ত সেনাপতি মাত্র কয়েক মিনিট বিলম্ব করেছিলেন। এর ফলে জগৎ বিখ্যাত সম্রাটকে পরাজয়ের গ্লানি ভােগ করতে হয়। সেনাপতির যদি এ বিলম্ব না ঘটতাে তাহলে ইউরােপ তথা বিশ্বের ইতিহাস বদলে যেতাে। কেবল নিজে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাই মানবজীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। মানুষের গুণগত উন্নতির জন্য যেমন অন্যের কথা ভাবতে হবে, তেমনি আত্মিক বিকাশের জন্য সৃজনশীলতার চর্চা করা আবশ্যক। সময়ের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে জগতে কীর্তিমান হওয়া সম্ভব। এ জন্য সম্মুখে আসা কর্তব্য ও দায়িত্বকে ভাগ করে নিতে হবে। উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সে অনুযায়ী কর্তব্য পালনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। একদিনের কাজ অন্য দিনের জন্য ফেলে রাখা চলবে না। তাছাড়া কাজের সময়ে মতাে অবসর সময়ও চিহ্নিত করে রাখতে হবে।
সময়ানুবর্তিতার গুরুত্ব
মানবজীবন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু তার গৌরব চিরস্থায়ী। জীবনের শিক্ষা অফুরন্ত, কর্তব্য অপরিমেয়, কর্মজগতের পরিধি ক্রমবর্ধমান। তাই সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে কর্মের সঙ্গতি বিধান করা উচিত। যথাসময়ে বীজ বপনের ওপর যেমন নির্ভর করে শস্য উৎপাদন, রােগের কারণে উপযুক্ত সময়ে যেমন গ্রহণ করতে হয় ওষুধ, তেমনি সঠিক দায়িত্বের সঙ্গে নিয়মিত পাঠাভ্যাসের মাধ্যমে পরীক্ষায় কাঙ্খিত ফলাফল লাভ করা সম্ভব । জীবন, প্রকৃতি, পরিবেশ সর্বত্রই সময়ের নিবিড় ছকে পরিচালিত হচ্ছে। সময় ও সুযােগকে কাজে লাগাতে পারলে উন্নতির পথ প্রশস্ত হয়, জগতে কীর্তিমান হওয়ার সুযোগ ঘটে। কবি বলেন –
“সময়ের মূল্য বুঝে করে যারা কাজ। তারা আজ স্মরণীয় জগতের মাঝ।”
সময়ের মূল্যায়ন ও জীবনে সাফল্য
সময় গতিশীল তা কখনাে থেমে থাকে না। কোনাে লােভ দেখিয়ে, কোনাে ভয় দেখিয়ে সময়কে থামানাে যায় না। সময় নির্মম ও নিষ্ঠুর। অথচ সময়কে কাজে লাগাতে পারলেই জীবনে সফলতা লাভ করা যায়। যার সময় সম্পর্কে জ্ঞান আছে ও পরিমিতিবােধ আছে সে-ই জীবনে সাফল্য লাভ করে। সময়ের অবহেলা করলে সাফল্য সােনার হরিণের মতাে কোনাে দিনই ধরা দেবে না। প্রতিটি মুহূর্তই নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেয়। যারা সময়কে কাজে লাগাতে পারে তারাই সাফল্য লাভ করে। কিন্তু সময়কে অবহেলা করে অপব্যয় করলে জীবনে মারাত্মক পরিণতি নেমে আসে। কোনাে বিষয়ে সে সফলতার মুখ দেখতে পায় না। কবির ভাষায়-
“নিতান্ত নির্বোধ যেই শুধু সেই জন।
এ অমূল্য সময় করে বৃথায় যাপন।”
সময়নিষ্ঠ ব্যক্তি ও জাতির উদাহরণ
জগতের প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিদের ইতিহাস পর্যালােচনা করলে দেখা যায় যে, তারা কেউই সময়ের মূল্য সম্পর্কে উদাসীন ছিলেন না। তাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই ছিল প্রাণচঞ্চল এবং কর্মবহুল। কোনাে রকমের অলসতা এবং জড়তা তাদেরকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। গণতন্ত্রের প্রবক্তা আব্রাহাম লিংকন- যিনি সামান্য শ্রমিক থেকে হয়েছিলেন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কৃতী প্রেসিডেন্ট। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করার জন্যে প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগিয়েছিলেন অনেক রক্ত বিসর্জন দিয়েছিলেন। এরিস্টটল- যিনি দিগবিজয়ী বীর আলেকজান্ডারের গৃহশিক্ষক থেকে হয়েছিলেন জগদৃবিখ্যাত দার্শনিক, যিনি বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে আছেন আধুনিক সভ্যতা ও জ্ঞানবিজ্ঞানের জনক হিসেবে। বৈজ্ঞানিক নিউটন, আইনস্টাইন, আলভা এডিসন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, শের-এবাংলা এ. কে. ফজলুল হক এমনি বহু মনীষীর নাম এ প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে। আর সময়নিষ্ঠ জাতি হিসেবে ইংরেজ, আমেরিকান, জাপানি, ভিয়েতনামি, চাইনিজ, কোরিয়ানদের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। ইংরেজরা সাংঘাতিক রকমের সময়নিষ্ঠ জাতি, তাই তারা পৃথিবীজোড়া এক বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল। বহু পরে যে আমেরিকার আবিষ্কার হয়, সেই আমেরিকানরাই সময়কে কাজে লাগিয়ে আজ পৃথিবীর সেরা জাতি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের ফলে যে জাপানিরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছিল সে জাপান সময়কে কাজে লাগিয়ে দ্রুত নিজেদেরকে আবার গড়ে নিয়েছে। তারা আজ এশিয়ার অহংকার। আমেরিকার সাথে প্রায় দশ বছর যুদ্ধ করে যে ভিয়েতনাম প্রায় ধ্বংস হয়ে পড়েছিল, সে ভিয়েতনামে আজ উন্নয়নের সুবাতাস বইছে। এশিয়ার আরও দুটি দেশ, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মালয়েশিয়া আজ উন্নত দেশ হিসেবে বিবেচিত। সময়কে কাজে লাগিয়েই এরা আজ উন্নয়নের স্বর্ণশিখরে অধিষ্ঠিত। অনুন্নত দেশগুলাের সামনে এসব দেশ আজ মডেল হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
উপসংহার
ইংরেজিতে বলা হয়, "Time is money."— অর্থাৎ সময়ই অর্থ। সীমাবদ্ধ জীবনে উন্নতির সােপান হলাে সময়ের মূল্য অনুধাবন করা। সময়ের সঠিক ব্যবহার জীবনকে করে মহিমান্বিত। মানুষের মূল্যবান এ জীবন বারেবারে আসে না, একবারই আসে। মানুষের উচিত তার এ জীবনকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ করে তােলা। এজন্য সময়ানুবর্তিতা একান্ত প্রয়ােজন। অতীতে তারাই সফল হয়েছে, যারা সময়ের মূল্য দিয়েছে। ভবিষ্যতেও তারাই সফল হবে যারা সময়কে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে। মানুষের চরম ও পরম পাওয়ার মূলে রয়েছে সময়ের প্রতি সচেতনতা আর সময়ের সঠিক মূল্যায়ন। সফল ব্যক্তিদের সাফল্যের চাবিকাঠি এর মধ্যে নিহিত রয়েছে। সুতরাং জীবনকে অর্থবহ করতে, দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধ করে তুলতে আমাদের প্রত্যেকেরই সময়ের মূল্য অনুধাবন করা উচিত।
মন্তব্যগুলো দেখান