স্বাস্থ্য কথা

শুধু ভিড় নয়, বন্ধ ঘরও করোনার ঝুঁকি বাড়ায়

Rate this post

ভিড়ে ছড়ায় নোভেল করোনাভাইরাস। তাই ঘরবন্দি থাকার দাওয়াই দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেই ঘর যদি বদ্ধ হয়? যথেষ্ট বাতাস না-খেলে? সে ক্ষেত্রে নোভেল করোনাভাইরাস অনেক ক্ষণ টিকে থাকতে পারে ও বাড়াতে পারে সংক্রমণের আশঙ্কা। চিনে নতুন এক গবেষণায় জানা গিয়েছে এই তথ্য। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে নেচার পত্রিকায়।
চিনের উহানে হাসপাতালের শৌচাগারে দেখা গিয়েছে, করোনাভাইরাসের জেনেটিক বস্তু বাতাসে ভেসে রয়েছে। তাতে এই সন্দেহ উঠে আসে যে, তবে কি বাতাসে ভাসমান যে-কোনও ক্ষুদ্র কণার সঙ্গেই দূরে যেতে পারে এই ভাইরাস?
হাঁচি-কাশিতে বা কথা বললে থুতুর কণা বা ড্রপলেট ছিটকে বেরোয়। তুলনায় বড় বলে বাতাসে ভেসে ড্রপলেট বেশি দূরে যেতে পারে না বলে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা সব দেশেরই সরকার বলে যাচ্ছে। কিন্তু ড্রপলেটের চেয়েও ছোট যে কণা বা এরোসল বাতাসে ভেসে থাকে। তা দিয়েও কি ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস? এরোসল আকারে ১ মাইক্রন বা মাইক্রোমিটার (১ মিটারের ১০ লক্ষ ভাগের এক ভাগ)-এর চেয়ে ছোট বলে বাতাসে ভেসে দূর-দূরান্তে যেতে পারে। কুয়াশা, ধোঁয়াশা, ধূলিকণা— যা বাতাসে ভেসে থাকে, সেগুলিই এরোসলের প্রাকৃতিক উদাহরণ। হাঁচি-কাশি বা কথা বলার সময়ে শরীর থেকে ছড়ানো এরোসলের পিঠে চেপেও কি যাত্রা করছে করোনাভারাস?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, কোথাও বাতাসবাহিত সংক্রমণের তথ্য তাদের হাতে আসেনি। কিন্তু লকডাউন ও অন্য সতর্কতা সত্ত্বেও সংক্রমিতের সংখ্যা ৩০ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছনোয়, সংক্রমণটা কী ভাবে ঘটছে, সেটা আরও ঠিক ভাবে জানাটা জরুরি হয়ে উঠেছে। সেই লক্ষ্যেই উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী কে লানের নেতৃত্বে এক দল গবেষক শহরের দু’টি হাসপাতালে পরীক্ষা চালান। তাতে এই সন্দেহ আরও জোরদার হয় যে, রোগটা বাতাসবাহিত হতেও পারে। যদিও এ বিষয়ে নিশ্চিত রায় দিতে পারেনি তাঁদের গবেষণা।
লানের বিজ্ঞানী দলটি দু’টি হাসপাতাল ও আশপাশে এরোসলের ‘ফাঁদ’ পাতেন। ওয়ার্ডগুলিতে, আশপাশের সুপারমার্কেট বা আবাসনে এরোসল যা মিলেছে, তার চেয়ে ঢের গুণ বেশি পাওয়া গিয়েছে শৌচালয়ে, ভিড় হয় এমন দু’টি স্থানে ও বদ্ধ ঘরে। বিশেষ করে চিকিৎসাকর্মীরা যেখানে সুরক্ষা-বর্ম পরেন ও ছাড়েন। যার অর্থ, ওই ব্যবহৃত সুরক্ষা সরঞ্জামগুলি থেকে বায়ুবাহিত এরোসল ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি। সেগুলি রোগ ছড়ায় বা ছড়িয়েছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে না-পারলেও ভিড়ে বা বদ্ধ ঘরে থাকা যে বিপজ্জনক, সেটা স্পষ্ট ভাবেই জানা গিয়েছে ওই পরীক্ষায়।
হাঁচি-কাশিতে বা কথা বললে থুতুর কণা বা ড্রপলেট ছিটকে বেরোয়। তুলনায় বড় বলে বাতাসে ভেসে ড্রপলেট বেশি দূরে যেতে পারে না বলে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা সব দেশেরই সরকার বলে যাচ্ছে। কিন্তু ড্রপলেটের চেয়েও ছোট যে কণা বা এরোসল বাতাসে ভেসে থাকে। তা দিয়েও কি ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস? এরোসল আকারে ১ মাইক্রন বা মাইক্রোমিটার (১ মিটারের ১০ লক্ষ ভাগের এক ভাগ)-এর চেয়ে ছোট বলে বাতাসে ভেসে দূর-দূরান্তে যেতে পারে। কুয়াশা, ধোঁয়াশা, ধূলিকণা— যা বাতাসে ভেসে থাকে, সেগুলিই এরোসলের প্রাকৃতিক উদাহরণ। হাঁচি-কাশি বা কথা বলার সময়ে শরীর থেকে ছড়ানো এরোসলের পিঠে চেপেও কি যাত্রা করছে করোনাভারাস?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, কোথাও বাতাসবাহিত সংক্রমণের তথ্য তাদের হাতে আসেনি। কিন্তু লকডাউন ও অন্য সতর্কতা সত্ত্বেও সংক্রমিতের সংখ্যা ৩০ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছনোয়, সংক্রমণটা কী ভাবে ঘটছে, সেটা আরও ঠিক ভাবে জানাটা জরুরি হয়ে উঠেছে। সেই লক্ষ্যেই উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী কে লানের নেতৃত্বে এক দল গবেষক শহরের দু’টি হাসপাতালে পরীক্ষা চালান। তাতে এই সন্দেহ আরও জোরদার হয় যে, রোগটা বাতাসবাহিত হতেও পারে। যদিও এ বিষয়ে নিশ্চিত রায় দিতে পারেনি তাঁদের গবেষণা।
লানের বিজ্ঞানী দলটি দু’টি হাসপাতাল ও আশপাশে এরোসলের ‘ফাঁদ’ পাতেন। ওয়ার্ডগুলিতে, আশপাশের সুপারমার্কেট বা আবাসনে এরোসল যা মিলেছে, তার চেয়ে ঢের গুণ বেশি পাওয়া গিয়েছে শৌচালয়ে, ভিড় হয় এমন দু’টি স্থানে ও বদ্ধ ঘরে। বিশেষ করে চিকিৎসাকর্মীরা যেখানে সুরক্ষা-বর্ম পরেন ও ছাড়েন। যার অর্থ, ওই ব্যবহৃত সুরক্ষা সরঞ্জামগুলি থেকে বায়ুবাহিত এরোসল ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি। সেগুলি রোগ ছড়ায় বা ছড়িয়েছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে না-পারলেও ভিড়ে বা বদ্ধ ঘরে থাকা যে বিপজ্জনক, সেটা স্পষ্ট ভাবেই জানা গিয়েছে ওই পরীক্ষায়।
সুত্র ঃ আনন্দ বাজার।


 এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন। 

Google News

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button