অনুচ্ছেদ লিখন ঃ তথ্যপ্রযুক্তি
বাংলা ২ য়
তথ্যপ্রযুক্তি
বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের উপর নির্ভরশীল। আর বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব আবিষ্কার হলাে তথ্যপ্রযুক্তি। বিজ্ঞানকে বিভিন্ন শিল্প তথা মানব কল্যাণে প্রয়ােগ করার কৌশলই হচ্ছে প্রযুক্তি। আজকের দিনের বহুল আলােকিত প্রযুক্তিটি হলাে তথ্যপ্রযুক্তি। যা বর্তমান বিশ্বের সকল প্রকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মূল হাতিয়ার। জ্ঞানবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্ব পরিমণ্ডলে নিজ অবস্থান সুদৃঢ় ও উজ্জ্বল করতে এবং একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মােকাবিলায় প্রস্তুত হতে হলে তথ্যপ্রযুক্তির বিকল্প নেই। কম্পিউটিং, মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স, টেলিকমিউনিকেশন ইত্যাদি বিষয় তথ্যপ্রযুক্তির অধীন। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ সময় ও দূরত্বকে জয় করতে সক্ষম হয়েছে। প্রথম বিশ্বের দেশগুলােতে তথ্যপ্রযুক্তিগত উন্নয়নের যে জোয়ার বইছে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলাের মধ্যে ভারতে তার প্রভাব অনেক আগে পড়লেও আমরা তা থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। আশার কথা, এক্ষেত্রে আমরা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি।
আমাদের দেশে যুবকদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এক নতুন দ্বার উন্মােচন করে দিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি। বিশ্বায়নের এ যুগে প্রতিযােগিতায় টিকে থাকতে হলে আমাদের দেশের বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার করে এবং তাকে তথ্যপ্রযুক্তিভিক্তিক শিক্ষায় রূপান্তরিত করে প্রতিটি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক স্বতন্ত্র বিভাগ প্রতিষ্ঠা করতে হব। এ যুগে জীবনযাত্রার সকল ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতি আমরা কত দ্রুত সাড়া দেব তার উপর নির্ভর করছে আগামী দিনের বাংলাদেশের ভাগ্য। তাই আমাদের দেশে সফ্টওয়্যারের ক্ষেত্রে শতকরা ১৫ ভাগ অভ্যন্তরীণ মূল্য সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরােপীয় ইউনিয়ন ও আসিয়ান (ASEAN) দেশসমূহে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের বাজর সম্প্রসারণে চেষ্টা করতে হবে। তা করতে পারলেই কেবল আমরা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক জাতি হিসাবে নিজেদেরকে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

ভের্য গুড