অনুচ্ছেদ লিখন : এভারেস্ট বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশি
বাংলা ২য়
এভারেস্ট বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশি
(অনুচ্ছেদ)
শত বঞ্চনা সহ্য করেও বাঙালি জাতি আজ মাথা উঁচু করে বেঁচে আছে। বিশ্বের বুকে নিজেদেরকে অনন্য আসনে সমাসীন করেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের বিজয় মুকুটে সংযুক্ত হয়েছে আরেকটি পালক। আর তিনি হলেন বাংলাদেশি প্রাণােচ্ছল যুবক মুসা ইব্রাহিম। তিনি মাউন্ট এভারেস্ট বিজয়ী। প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে তিনিই প্রথম পদার্পণ করেন এভারেস্টের সর্বোচ্চ চূড়ায়। উত্তোলন করেন স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। এর পূর্বে বাংলাদেশিদের কাছে এভারেস্ট জয় ছিল কেবলই স্বপ্ন। আর এ স্বপ্নের সফল বাস্তবায়নকারী হলেন মুসা ইব্রাহিম। ২০১০ এপ্রিল এভারেস্টের তিব্বতের অংশ দিয়ে তিনি অভিযান শুরু করেন। দীর্ঘ ৩৩ দিনের দুঃসাহসী অভিযানের পর ৩৪ তম দিনে তার স্বপ্নচূড়া এভারেস্টে উঠতে সক্ষম হন। সেখানে তিনি প্রায় ২৫ মিনিটের মতাে অবস্থান করেন। এরপর যখন নেমে আসতে থাকেন তখন বুঝতে পারেন এভারেস্টের চূড়ায় উঠা যতটা কঠিন, নেমে আসাটা তার চেয়েও বেশি কঠিন।
সামান্য ভুলে কোনাে সময় ঘটে যেতে পারে বিয়ােগান্তক দুর্ঘটনা। এমনি জীবন মৃত্যুর দোলাচলে দুলতে দুলতে তিনি যখন নিচে নেমে আসেন তখন সূর্য পাটে চলে গেছে। চারদিক জুড়ে নেমে এসেছে অন্ধকার। মুসা ইব্রাহিম পরিতৃপ্ত নয়নে তাকিয়ে থাকেন বিস্ময়, রহস্য আর ভয়ংকর সুন্দরের হাতছানি দিয়ে, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে মাউন্ট এভারেস্টের দিকে। যার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৮৪৮ মিটার। ইতােমধ্যে মুসা ইব্রাহিমের সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে আরও এক বাঙালি যুবক এম. এ মুহিত আর দুই বাঙালি যুবতি নিশাত মজুমদার ও ওয়াসফিয়া নাজরীন এভারেস্ট জয় করেছেন। যত দিন বাংলাদেশ’ থাকবে, বাঙালি জাতি থাকবে ততদিন মুসা ইব্রাহিমের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
