ভাবসম্প্রসারণ
ভাবসম্প্রসারণ : সকল জাতই সৃষ্টি যে তাঁর এ বিশ্বমায়ের বিশ্বময় মায়ের ছেলে সবাই সমান, তার কাছে নাই আত্মপর
সকল জাতই সৃষ্টি যে তাঁর এ বিশ্বমায়ের বিশ্বময়
মায়ের ছেলে সবাই সমান, তার কাছে নাই আত্মপর।
মূলভাব
এ বিশ্বভ্রমান্ড মায়ের মতাে। মা যেমন তাঁর ছেলেমেয়েকে সমানভাবে ভালােবাসেন তেমনই পৃথিবীও সকল জাতিকে সমানভাবে তার মাঝে বসবাসের সুযােগ করে দেয়। এক্ষেত্রে কোনােরূপ বৈষম্য নেই তার মাঝে।
সম্প্রসারিত ভাব
বৈচিত্র্যের সম্ভার এ পৃথিবী, বিচিত্র এর অধিবাসীরাও। নানান ভাষার, নানান বর্ণের, নানান সংস্কৃতির মানুষ। এখানে বসবাস করে। কিন্তু মা যেমন তাঁর সন্তানদের ভালােবাসেন পৃথিবীও তেমনই মায়ের মতাে স্নেহে-ভালােবাসায় সকল জাতির মানুষকে পালন করে। তাদের মধ্যে কোনাে পার্থক্য করে না। মায়ের সকল সন্তান মাতৃস্তন্য পান করে, মায়ের স্নেহের সুশীতল ছায়ায় বড়াে হয়, মা তার শত কষ্ট ও যন্ত্রণা উপেক্ষা করে সন্তানের সুখ নিশ্চিত করেন। পৃথিবী যেন মায়েরই আরেক বিশ্বজনীন জননীরূপ। এই বিশ্ব মা তার অসংখ্য সন্তানকে বুকে ধারণ করে।
তার বুক দিয়ে বাহিত অসংখ্য নদী-নালা, সাগর-মহাসাগরের মাতৃস্তন্যরূপ তৃষিত সন্তানকে পরিতৃপ্ত করে, ক্ষুধায় অন্ন দেয়, রৌদ্রে ছায়া দেয়। মা যেমন সন্তানের বিপদে বুক পেতে দেন, পৃথিবীও তেমনই সর্বংসহা, তার সন্তানস্বরূপ মানবজাতিকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে ঝড়ঝাপটা, বিপদাপদ তার নিজের দেহেই তুলে নেয়। ভয়ংকর সমুদ্র যখন রুদ্ররােষে ফুসে ওঠে, ধ্বংস করতে চায় এ বিশ্ব চরাচকে তখন পৃথিবীই তাকে প্রথম বাধা দেয়, শান্ত করে দেয়। যখন প্রচণ্ড ঝড় বিকট শব্দ তুলে প্রবাহিত হয়, তখন পৃথিবী দাঁড়ায় অতন্দ্র প্রহরীর মতাে। পর্বতমালা মানুষকে ঝড়-ঝঞা থেকে রক্ষা করে। পৃথিবী যদি মায়ের মতাে মানুষকে আগলে না রাখত তাহলে অনেক আগেই বিশ্বের অনেক জাতি ধ্বংস হয়ে যেত। পৃথিবী প্রতিটি মানুষকে রক্ষা করে। সকল জাতির প্রতিই সে সমভাবে প্রসন্ন। এ কারণেই
কবি পৃথিবীর মধ্যে মাতৃরূপ দেখেছেন।
মন্তব্য
স্রষ্টা সব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন বৈষম্যহীনভাবে। মা যেমন তাঁর সন্তানসন্ততিকে সমান ভালােবাসেন তেমনই স্রষ্টাও তাঁর সৃষ্ট সকল জাতিকে সমান দৃষ্টিতে দেখেন।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
