Uncategorized

“তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” অষ্টম শ্রেণি ১৭ তম অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর

Rate this post

“তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” অষ্টম শ্রেণি ১৭ তম অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর – Class Eight ICT 17th week assignment answer. 

"তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি" অষ্টম শ্রেণি ১৭ তম অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর


নির্ধারিত কাজ

"তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি" অষ্টম শ্রেণি ১৭ তম অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর

নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন কর।

“তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” অষ্টম শ্রেণি ১৭ তম অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর

০৮ জুন, ২০২১ খ্রিঃ
প্রধান শিক্ষক
গরিবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয়
হালিশহর, চট্রগ্রাম।
বিষয় : প্রতিবেদন জমাদান প্রসঙ্গে।
সূত্র : গ.উ.বি/১২৮/২০২১ তারিখ : ০৩ জুন, ২০২১ খ্রিঃ

মহোদয়,

সবিনয় নিবেদন এই যে, গত ০৩ জুন, ২০২১ খ্রিঃ  এর স্মারক নং গ.উ.বি/১২৮/২০২১  মোতাবেক আপনার নিকট থেকে আদিষ্ট হয়ে নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রস্তুত করেছি।

অতএব, আপনার সদয় বিবেচনার জন্য “নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি” সম্পর্কিত প্রতিবেদনটি নিম্নে উপস্থাপন করলাম।

প্রতিবেদক
ফাছিহ্‌ আহমেদ রিমন
গরিবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয়
নবম শ্রেণি, ব্যবসায় শাখা, রোলঃ ০৭

নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি

 মানুষ সামাজিক জীব। সেই প্রাচীনকাল থেকে মানুষ একে অপরের সাথে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। একে অন্যের বিপদে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করার মাঝে নতুন একটি মাত্রা যোগ করেছে তথ্যপ্রযুক্তি ও নেটওয়ার্কিং। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে যে কাজগুলো করতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হতো তা এখন অতি অল্প সময়ে সম্পন্ন করা যাচ্ছে।

 মানুষ চাইলে যেকোনো তথ্য এক নিমিষেই দেখে নিতে পারছে। নেটওয়ার্কিং এর কল্যাণে মুহূর্তের মধ্যেই খবর পৌঁছে যাচ্ছে এক দেশ থেকে আরেক দেশে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সর্বক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে নেটওয়ার্কিং। কঠিন ও সময়সাপেক্ষ কাজ এখন অল্প সময়ে খুব সহজেই সম্পূর্ণ করা যাচ্ছে নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে। বর্তমান বিশ্বে যত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাঁর বেশিরভাগই প্রযুক্তিনির্ভর। নেটওয়ার্কের কল্যাণে মানুষ মানুষের দূরত্ব কমে এসেছে। ফলে জীবনে এসেছে গতি কর্মে এসেছে চাঞ্চল্যতা।

তবে এই নেটওয়ার্ক ব্যবহারের জন্য বিশেষ কিছু ডিভাইস এর প্রয়োজন হয়। ডিভাইসগুলো ছাড়া নেটওয়ার্কের সুবিধা পাওয়া সম্ভব নয়। 

সার্ভার : সার্ভারের কাজ হল serve করা। সার্ভার হল এক ধরনের শক্তিশালী কম্পিউটার যেটি  নেটওয়ার্কের অন্য কম্পিউটারকে নানারকম সেবা দিয়ে থাকে। একটি নেটওয়ার্কে একাধিক সার্ভার থাকতে পারে।

ক্লায়েন্ট : সাধারণ অর্থে ক্লায়েন্ট অর্থ হল গ্রাহক।  কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে যিনি সেবা নিয়ে থাকেন তাকে ক্লাইন্ট বলা হয়।

মিডিয়া: সহজ ভাষায় মিডিয়া হচ্ছে মাধ্যম। অর্থাৎ নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে যে বস্তুগুলো ব্যবহার করে কম্পিউটারগুলোকে যুক্ত করা হয় তাকে মিডিয়া বলে। বৈদ্যুতিক তার, অপটিক্যাল ফাইবার। ওয়াইফাই ইত্যাদি। 

নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার: নেটওয়ার্কের সাথে কম্পিউটারকে সরাসরি সংযুক্ত করা হয় না। একটি নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড এর মাধ্যমে কম্পিউটারগুলোকে সংযুক্ত করা হয়। এবং এই কার্ডগুলো মিডিয়া থেকে তথ্য নিয়ে ব্যবহার করার জন্য কম্পিউটারকে প্রদান করে। আর কম্পিউটার থেকে তথ্য নিয়ে সেটি নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে দেয়। 

রিসোর্স: নেটওয়ার্কের ভাষায় রিসোর্স অর্থ হচ্ছে সুযোগ-সুবিধা যা ক্লায়েন্ট এর জন্য দেয়া হয়। যেমন কম্পিউটারের সাথে যুক্ত প্রিন্টার অথবা ফ্যাক্স মেশিন। 

ইউজার: সার্ভার থেকে যারা রিসোর্স ব্যবহার করেন তারাই হলেন ইউজার বা  ব্যবহারকারী। 

প্রটোকল: একটি নেটওয়ার্কের সাথে অনেক কম্পিউটার যুক্ত থাকে। আবার অনেক সময় ভিন্ন ভিন্ন কম্পিউটারকে একসাথে যুক্ত করতে হয়। যুক্ত করার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই তথ্য আদান-প্রদান করতে হয়। বর্তমানে দুইটি প্রোটকল রয়েছে। http (Hyper text transfer protocol) ও https (Hypertext transfer protocol secure)

হাবঃ স্টার টপোলজিতে সব কম্পিউটার থেকে কেবল এসে একটি কেন্দ্রিয় স্থানে যুক্ত হয়। এ সেন্ট্রাল লোকেশনে থাকে একটি ডিভাইস যাকে হাব বলা হয় ।

সুইচ: সুইচ ধরনের কানেকটিভিটি ডিভাইস, যা সিগনাল রিসিভ করার পর তা সরাসরি টার্গেট পোর্ট বা নোডসমুহে পৌছায়। নেটওয়ার্ক সুইচ আর নেটওয়ার্ক হাব কম্পিউটার নেটওয়ার্কি এর মুল স্তম্ভ।

রাউটারঃ রাউটার হলো এক ধরনের নেটওয়ার্ক ডিভাইস। যেটি, একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে অন্য কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মধ্যে কানেক্ট করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এইজন্য রাউটারের স্থান মডেম এবং কম্পিউটারের মধ্যে করা হয়। সুতরাং রাউটার হলো একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস। রাউটার ওয়ারলেস বা ওয়্যার যুক্ত দুই ধরনের হতে পারে। 

মডেমঃ যে ইলেকট্রনিক্স মাধ্যম বা ট্রান্সমিশন সিস্টেম বা যন্ত্রের মাধ্যমে মডুলেশন ও ডিমডুলেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রেরক ও প্রাপক কম্পিউটারের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদানে সাহায্য করে তাকে মডেম বলে।

প্রতিবেদকের নাম : ফাছিহ্‌ আহমেদ রিমন
প্রতিবেদনের ধরন : প্রাতিষ্ঠানিক
প্রতিবেদনের শিরোনাম : নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি
প্রতিবেদন তৈরির স্থান : হালিশহর, চট্রগ্রাম।
তারিখ : ০৮.০৬.২০২১ খ্রিঃ

সূত্রঃ
১. উইকিপিডিয়া
২. প্রথমআলো
৩. অষ্টম শ্রেণির “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” বই

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

2 Comments

মন্তব্য করুন

Back to top button