স্বাস্থ্য কথা

ইফতারে কেনো খেজুর রাখবেন? জেনে নিন খেজুরের ৭টি উপকারিতা

5/5 - (10 votes)

আসন্ন রমজানে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে ইফতারের অনুষঙ্গ হবে খেজুর। রোজা ছাড়াও বছরজুড়েই অনেকে খেজুর খেয়ে থাকেন। সুস্বাদু এ ফলের বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইন।

১. খুবই পুষ্টিকর

খেজুরে দারুণ পুষ্টিগুণ রয়েছে। শুকনা হওয়ার কারণে এ ফলের ক্যালোরির পরিমাণ অধিকাংশ তাজা ফলের চেয়ে বেশি।

প্রতি ১০০ গ্রাম বা সাড়ে তিন আউন্স মেজদুল খেজুরে ২৭৭ ক্যালোরি, ৭৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৭ গ্রাম আঁশ, ২ গ্রাম প্রোটিন, দৈনিক চাহিদার ১৫ শতাংশ পটাশিয়াম, ১৩ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম, ৪০ শতাংশ কপার, ১৩ শতাংশ ম্যাঙ্গানিজ, ৫ শতাংশ আয়রন ও ১৫ শতাংশ ভিটামিন বি৬ রয়েছে। এর বাইরে খেজুরে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে।

২. উচ্চ আঁশযুক্ত

সার্বিক সুস্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত আঁশ গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে ৭ গ্রাম আঁশ থাকে। এ কারণে ফলটি আঁশের বড় উৎস হতে পারে। আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে সহায়তা করে।

খেজুর

৩. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ

খেজুরে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যেগুলোর বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা আছে। এসব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিছু রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করতে পারে। এর বাইরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ফ্রি রেডিক্যালের হাত থেকে বাঁচাতে সহায়তা করে। ফ্রি রেডিক্যাল হলো অস্থিতিশীল কিছু অণু, যেগুলো শরীরে ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া তৈরি করে রোগ সৃষ্টির কারণ হতে পারে। খেজুরে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো ফ্ল্যাভেনয়েড, ক্যারোটেনয়েড ও ফেনোলিক অ্যাসিড।

৪. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে

খেজুর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। ল্যাবরেটরিতে করা গবেষণায় দেখা যায়, খেজুর মস্তিষ্কে ইন্টারলেউকিন ৬ তথা আইএল-৬-এর মতো প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদান কমাতে সহায়তা করে। আইএল-৬-এর বেশি মাত্রায় উপস্থিতি আলঝেইমারের মতে রোগের উচ্চ ঝুঁকি তৈরি করে।

৫. প্রসবকালীন ভূমিকা

সন্তান প্রসবের সময় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে খেজুর। গর্ভাবস্থার শেষ কয়েক সপ্তাহ খেজুর খেলে এটি সন্তান প্রসবের সময় জরায়ুর প্রসারণে সহায়তা করতে পারে। এ ছাড়া প্রসবের সময় কমাতেও সহায়তা করতে পারে ফলটি।

৬. চিনির প্রাকৃতিক বিকল্প

খেজুর ফ্রুকটোজের একটি উৎস। ফলে থাকা এক ধরনের প্রাকৃতিক চিনি হলো ফ্রুকটোজ। এ উপাদানটির কারণে খেজুর অতি মিষ্টি স্বাদের। খেজুরে বেশ কিছু পুষ্টি, আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি কোনো রেসিপিতে সাদা চিনির দারুণ বিকল্প হতে পারে।

৭. সম্ভাব্য আরও কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা

কেউ কেউ খেজুরের আরও কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতার কথা বলেছেন, যা নিয়ে বড় পরিসরে গবেষণা হয়নি।

খেজুরে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো কয়েকটি খনিজ আছে। গবেষণায় দেখা যায়, সবগুলো খনিজেরই হাড়ক্ষয়জনিত সমস্যা প্রতিরোধের সক্ষমতা আছে।

লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স, আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় রক্তে শর্করা কমানোয় সহায়ক হওয়ার সম্ভাবনা আছে খেজুরের। যদিও এ বিষয়ে মানবকেন্দ্রিক আরও গবেষণা দরকার।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button