অনুচ্ছেদ

স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব (অনুচ্ছেদ)

1/5 - (4 votes)

মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প ও সাহিত্য সাধনার মৌন সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বের অজস্র বই। বইকে সঙ্গী করতে পারলে মানুষের হৃদয়েও মনের অনেক অভাব ঘুচে যায়।  স্বশিক্ষা অর্জনে  চাই বই পড়া।কারন একমাত্র বই পড়ার মাধ্যমে হৃদয় মনের ঘুমন্ত আত্মা জেগে উঠে। বিকশিত হয় মানুষের বিবেক এবং মনুষ্যত্ব ।  আধুনিক জগতে সমগ্র বিশ্বকে উপলব্ধি করতে হলে সভ্য মানুষের বইয়ের অবারিত সঙ্গ না হলে চলে না। আবার বইয়ের সূত্র ধরে মানুষ অগ্রসর হয়ে চলে সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিবর্তনের পথে। পৃথিবীর ইতিহাস-ঐতিহ্যের অন্যতম অবলম্বন বই। বইয়ের মাধ্যমে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, জাতি, ভাষা সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করি। বই মানুষকে পৃথিবীতে হাজার বছর পথচলার অনুভূতি দিতে পারে। আবার বইয়ের মধ্য দিয়েই কোন কবি, সাহিত্যিক বা লেখক মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকতে পারেন হাজার বছর। বই মানুষের হৃদয়ের দ্বার খুলে দেয়, চিন্তার জগতকে প্রসারিত করে। আমাদের মননশক্তি ও হৃদয়বৃত্তিকে সম্পূর্ণভাবে জাগ্রত করতে পারি বই পাঠের মাধ্যমেই। তাই বই পড়ার অভ্যাস গঠন করা অবশ্যই উচিত। বইয়ে জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্যের স্রোতধারা একত্রিত হয়। সেই ধারার সাথে মিললেই মানুষের আত্মপ্রসার ঘটে। তাই আমরা অধিক পরিমাণে বইপাঠে আগ্রহী হব, যা দিতে পারে এক সুন্দর ভবিষ্যৎ। পাঠ্য বইয়ে আবদ্ধ না থেকে অন্যান্য বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে বই মানুষের একমাত্র বন্ধু যার ছোঁয়ায় স্বশিক্ষা অর্জন করা যায়। 

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

16 Comments

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button