হাস্য শুধু আমার সখা? অশ্রু আমার কেহই নয়?
হাস্য করে অর্ধজীবন করেছি তো অপচয়।
চলে যা রে সুখের রাজ্য, দুঃখের রাজ্য নেমে আয়,
গরা ধরে কাঁদতে শিখি গভীর সমবেদনায়।
সুখের সঙ্গ ছেড়ে করি দুঃখের সঙ্গে বসবাস—
ইহাই আমর ব্রত হউক, ইহাই আমার অভিলাষ।
যেথায় ক্লান্তি, যেথায় ব্যাধি, যন্ত্রণা ও অশ্রুজল,
ওরে তোরা হাতটি ধরে আমায় সেথা নিয়ে চল।
পরের দুঃখে কাঁদতে শেখা তাহাই শুধু চরম নয়,
মহৎ দেখে কাঁদতে জানা— তবেই কাঁদা ধন্য হয়।
সারমর্মঃ সুখ-দুঃখ মিলেই মানবজীবন। সুখের পর দুঃখ, দুঃখের পর সুখ— পালাক্রমে হাজির হওয়া এটাই জাগতিক নিয়ম।কিন্তু শুধু সুখ এলেই আমরা তাকে গ্রহণ করব আর খুশি হবো তা হওয়া উচিত নয়। তাই সুখের মতো দুঃখকেও বরণ করে নিতে হয়। নিজের জীবনে দুঃখ এলেই অপরের দুঃখ উপলব্ধি করা যায়। আর অপরের দুঃখে দুঃখিত হয়ে তার পাশে অবস্থান করার মধ্যেই মানবজীবনের সার্থকতা নিহিত।