বৈরাগ্য সাধনে, মুক্তি, সে আমার নয়—
অসংখ্য বন্ধন মাঝে মহা আনন্দময়
লভিব মুক্তির স্বাদ! এই বসুধার
মৃত্তিকার পাত্রখানি ভরি বারংবার
তোমার অমৃত ঢালি দিবে অবিরত
নানা বর্ণগন্ধময় প্রদীপের মতো
সমস্ত সংসার মোর লক্ষ বর্তিকায়
জ্বালায়ে তুলিবে আলো তোমারি শিখায়।
তোমারি মন্দির মাঝে।
সারমর্মঃ আত্মমুক্তির উদ্দেশ্যে মানুষ আধ্যাত্ন সাধনার অনুষঙ্গ হিসেবে বৈরাগ্যে ঝুঁকে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে বৈরাগ্যে মুক্তি নেই। যাপিত জীবন এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশকে ভালোবেসেই কেবল জীবনকে বিকশিত করা সম্ভব। আত্মমুক্তি বা আত্মশুদ্ধির জন্য বৈরাগ্য সাধনের দরকার নেই।