সংলাপ লিখন

সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে সচেতনতা নিয়ে সংলাপ

4.6/5 - (10 votes)

“সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে সচেতনতা” এই শিরোনামে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ
রচনা করো

সংলাপ: সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে সচেতনতা

ইফতি : মাশরু, একটা বিষয় খেয়াল করেছিস?
মাশরু : কী?
ইফতি : দেশজুড়ে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে তো বাড়ছেই ।
মাশরু : হ্যাঁ, সত্যি। বড়ো দুঃখজনক। এমনটা কেউ কামনা করে না। কিন্তু তুই কি আরেকটি বিষয় খেয়াল করেছিস?
ইফতি : কী ?

মাশরু : ইদানীং ঢাকা শহরেও সড়ক দুর্ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। খেয়াল করে দ্যাখ, এ এক বছরে শুধু ঢাকা শহরেই কত প্রাণ ঝরে গেছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীও আছে ।
ইফতি : হ্যাঁ, তুই ঠিকই বলেছিস। শিক্ষার্থীরা তো এ বিষয়ে আন্দোলন করছে।
মাশরু : কিন্তু আন্দোলন করে কি এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে?
ইফতি : না, তা অবশ্য যাবে না। এর জন্য সবার আগে চাই সচেতনতা ।
মাশরু : হ্যাঁ, তুই ঠিকই বলেছিস, এ জন্য সবার সচেতন হতে হবে।
ইফতি : হ্যাঁ, সচেতনতাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। দেখছিস না নায়ক-অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন তো লেগেই আছেন এ বিষয়ে ।
মাশরু : কিন্তু তাতে কি কাজ হচ্ছে? আসলে বিষয়টি কিন্তু সম্মিলিতভাবে করতে হবে।
ইফতি : যেমন?

সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে সচেতনতা নিয়ে সংলাপ
সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে সচেতনতা নিয়ে সংলাপ

মাশরু : প্রত্যেককে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে। যেমন-ধর তুই বাসা থেকে বের হলি, এ সময় তোর মুঠোফোনে কল এলো। তুই কী করলি, কলটা রিসিভ করে কথা বলতে বলতে হাঁটা শুরু করলি। তখন তোর মস্তিষ্ক কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে কী বলছে তাতে মনোযোগ দেয়, ফলে তুই যে হাঁটছিস, তাতে কিন্তু ওই মনোযোগটা থাকে না, যে মনোযোগটা সাধারণভাবে থাকে। ফলে কখনো কখনো হাঁটা পথে কারো সাথে টক্কর লাগে, কিংবা হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খেতে হয়। আবার এমনও হয়, তুই কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হচ্ছিস, আর ওদিকে যে গাড়ি আসছে তা খেয়াল করছিস না। ফলস্বরূপ দুর্ঘটনার শিকার ।
ইফতি : তুই কিন্তু উদাহরণটা খুব সুন্দর দিয়েছিস। রাস্তাঘাটে এ রকম অনেক ঘটনাই কিন্তু ঘটে।
মাশরু : হ্যাঁ। তাই সবার আগে নিজেকে সচেতন হতে হবে, তারপর অন্যকে সে বিষয়ে পরামর্শ বা জ্ঞান, যেটাই বলি না কেন, দিতে হবে। তাহলেই কিন্তু নিজেদের ভুলে যে দুর্ঘটনার শিকার হই, তা থেকে পরিত্রাণ মিলবে।
ইফতি : তোর কথায় কিন্তু আমি একমত। তবে এর পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়াতে চালকদের ভেতরেও সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে।
মাশরু : সেটা তো বটেই। এর জন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের প্রয়োজন। কারণ, তোর আর আমার কথা তো চালকরা শুনবেন না। গাড়ির চালক আর আমরা পথচারীরা যদি সচেতন হই, একমাত্র তখনই সড়ক দুর্ঘটনা দিন দিন কমিয়ে আনা সম্ভব।
ইফতি : হ্যাঁ, তুই ঠিকই বলেছিস। আমাদের সবার সচেনতাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে বড় ভূমিকা পালন করবে।
মাশরু : ইফতি, এক কাজ করলে কেমন হয়?
ইফতি : কী?
মাশরু : চল, আমরা বন্ধু আর সহপাঠীরা মিলে নিজেদের ভেতর সচেতনতা সৃষ্টি করি । তাহলে দেখবি আমাদের দেখে অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হবে।
ইফতি : কথাটা মন্দ বলিসনি। আমি একটা স্লোগানের কথা ভেবেছি স্লোগানটা হবে এ রকম- ‘নিজে সচেতন হই, অন্যকেও সচেতন করি’।
মাশরু : স্লোগানটা ভালো হয়েছে। চল উঠি ।
ইফতি : চল।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Back to top button