
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও বাংলাদেশ রচনা: প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা অনেকেই বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও বাংলাদেশ রচনাটির জন্য অনুরোধ করেছিলে। তাই বিভিন্ন বই থেকে পয়েন্ট সংগ্রহ করে সহজ ভাষায় সকল শ্রেণীর উপযোগী করে রচনাটি লেখা হয়েছে। আশা করি তোমাদের উপকারে আসবে।
[button color=”red” size=”big” link=”https://www.hazabarolo.com/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a6%9a%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7/” icon=”” target=”true” nofollow=”false”] সকল রচনা একসাথে[/button]
ভূমিকা
বিশ্বের মানুষ যত রকম হুমকির মধ্যে আছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা পৃথিবীর উষ্ণায়ন তাদের মধ্যে অন্যতম। পৃথিবীর সামনে এখন একটিই বড় চ্যালেঞ্জ, তা হলো বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি বা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। আর এ উষ্ণায়নের বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। যার ফলে বাংলাদেশের আবহাওয়ামণ্ডল উষ্ণ হয়ে ওঠে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কী
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন হলো তুলনামূলকভাবে যথেষ্ট কম সময়ে মানুষের কার্যক্রমের ফলে পৃথিবীর জলবায়ুর গড় তাপমাত্রার একটা লক্ষণীয় বৃদ্ধি । আরো নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে বলা যায়, একশ থেকে দুইশ বছরের মধ্যে বিশ্বের জলবায়ুর উষ্ণতা ১ ডিগ্রি বা এর চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেলে এটাকে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলা যেতে পারে। একশ বছরের মধ্যে ০.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়লেও সেটা উল্লেখযোগ্য ।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রেক্ষাপট
প্রতিনিয়ত পৃথিবীর তাপমাত্রা অধিকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জলবায়ুর স্বাভাবিক চরিত্রে পরিবর্তন ঘটেছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধিজনিত বিষয়টি বিশ্ব বা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন অভিধায় ভূষিত। শিল্প বিপ্লব-পূর্ববর্তী কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা ছিল মাত্র ২৭৮ পার্টস পার মিলিয়ন। ১৯৫৮ সালে তা দাঁড়ায় ৩১৫ পিপিএমে এবং বর্তমানে কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা পৌঁছেছে ৩৯০ পিপিএমে। জীবাশ্ম ইন্ধন দহন, বনভূমি ধ্বংস, ব্যাপক শিল্প উন্নয়নের ফলে বায়ুতে জমছে গ্রিনহাউস গ্যাস। ইন্টার গভর্নমেন্ট পেনাল অব ক্লাইমেট চেঞ্জের মতে, গ্রিনহাউস এফেক্ট পৃথিবীর ভীতিপ্রদ ভবিষ্যতের ইঙ্গিত।
[box type=”note” align=”” class=”” width=””]আরও পড়ুনঃ অনুচ্ছেদ : গ্রিন হাউজ প্রতিক্রিয়া ও বাংলাদেশ[/box]
মানুষের কৃতকর্মের দরুন বায়ুতে জমছে গ্রিনহাউস গ্যাস। এর ফলস্বরূপ পৃথিবীর উষ্ণতাও ১৯০০ সাল থেকে বেড়েছে ০.৩ ডিগ্রি থেকে ০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হারে। যা গত চল্লিশ বছরে ০.২ ডিগ্রি থেকে ০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বৃদ্ধি পায়। ফলে এলনিনো, মহাপ্লাবন, খরা, বন্যা, অতিবৃষ্টি, শৈত্যপ্রবাহ, পানি সংকট, খাদ্য সংকট, দুর্ভিক্ষ সবই আসন্ন। পরিবেশ বিজ্ঞানী গ্রিনগুরু জেমস লাভলক এর মতে, পয়েন্ট অব নো রিটার্নে পৌঁছে গেছি আমরা, তাই বিশ্বের ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী।
[box type=”info” align=”” class=”” width=””]একটু জানোঃ [tie_list type=”lightbulb”]
- পয়েন্ট অব নো রিটার্ন মানে হলো, এমন অস্থায় পৌঁছানো যেখান থেকে আর ফিরে আসার পথ নেই।
- জেমস লাভলক (James Lovelock) হলেন একজন পরিবেশ বিজ্ঞানী। তিনি পৃথিবীর জলবায়ু ও এর প্রভাব নিয়ে অসংখ্য গবেষণা করেছিলেন।
[/tie_list][/box]
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণ
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মূল কারণ বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ। পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে কলকারখানা ও যানবাহনে কয়লা, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানো হচ্ছে। এসব জ্বালানি পোড়ানোর ফলে পরিবেশে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। একই সাথে বন উজাড় করে ফেলার কারণে গাছ কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করছে কম। ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড বেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে শীতপ্রধান দেশে তীব্র শীতে গাছপালা টিকতে পারে না। সেখানে কাচের বা প্লাস্টিকের ঘর বানিয়ে সবুজ শাকসবজি চাষ করা হয়। এই ঘরের বিশেষত্ব হলো তাপ প্রবেশ করে বের হতে পারে না। এ রকম ঘরকে গ্রিনহাউস বা সবুজ ঘর বলা হয়। কাচের ঘরের ভেতরে এভাবে তাপ থেকে যাওয়ার বিষয়টিকে গ্রিনহাউস প্রভাব বলে ।
পৃথিবীকেও একটি গ্রিনহাউসের মতো ধরা হয়। পৃথিবীর চারিদিকে ঘিরে আছে বায়ুমণ্ডল। এ বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, জলীয়বাষ্পসহ রয়েছে অন্যান্য গ্যাস। কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন ও জলীয়বাষ্প গ্রিন হাউসের কাচের বা প্লাস্টিকের মতো কাজ করে। এরা সূর্যের তাপ পৃথিবীতে আসতে কোনো বাধা দেয় না। ফলে সূর্যের তাপে পৃথিবী উত্তপ্ত হয়। কিন্তু এ গ্যাসগুলো উত্তপ্ত পৃথিবী থেকে তাপ চলে যেতে বাধা দেয়। ফলে পৃথিবী রাতের বেলায় গরম থাকতে পারে। এসব গ্যাসকে গ্রিনহাউস গ্যাস বলে। কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, জলীয়বাষ্প বায়ুমণ্ডলে থাকা মানবসভ্যতার জন্য আশীর্বাদ। কারণ এসব গ্যাস না থাকলে পৃথিবী থেকে তাপ মহাশূন্যে চলে যেত। ফলে পৃথিবী রাতের বেলা ভীষণ ঠাণ্ডা হয়ে পড়ত।
[box type=”info” align=”” class=”” width=””]একটু জনোঃ [tie_list type=”lightbulb”]
- গ্রিনহাউস গ্যাস কি? বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন গ্যাস সূর্যরশ্মির তাপ আটকে রেখে পৃথিবীকে উষ্ণ রাখে। এ ধরণের গ্যাসসমূহকেই গ্রিনহাউজ গ্যাস বলে।
[/tie_list][/box]
বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত যে, গ্রিনহাউস গ্যাস সূর্যের অবহেলিত রশ্মি শোষণ করে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়াচ্ছে। গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর জন্য মুখ্যত কার্বন ডাইঅক্সাইডকে পঞ্চাশ শতাংশ দায়ী করছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে ক্লোরোফ্লোরো কার্বন পঁচিশ ভাগ, মিথেন পনেরো ভাগ, জলীয়বাষ্প এবং নাইট্রাস-অক্সাইড দশ ভাগ। গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর জন্য মূলত আমেরিকাই সবচেয়ে বেশি দায়ী।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব
জলবায়ু পরিবর্তন তথা বিশ্ব উষ্ণায়নের একটি সম্ভাব্য ভয়াবহ পরিণতি হলো সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি। সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রক্রিয়ায়-
প্রথমত, ভূপ্রষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রের পানির উত্তাপ বৃদ্ধি পাবে এবং পানি সম্প্রসারিত হয়ে সমুদ্রের আয়তন ও পরিধিকে বাড়িয়ে তুলবে।
দ্বিতীয়ত, উষ্ণায়নের ফলে পর্বতচূড়ায় জমে থাকা বরফ গলে সমুদ্রের পানির পরিমাণ বাড়াবে। এতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্লাবিত এলাকার পরিমাণ যেমন বাড়বে তেমনি পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে বড় বড় শহর।
তৃতীয়ত, উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে গ্রিনল্যান্ড, অ্যান্টার্কটিকাসহ অন্যান্য ভূভাগের উপরিতলে জমা হওয়া বরফ গলে সমুদ্রে এসে মিশে যাবে। এতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে।
সর্বোপরি, তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিহেতু ভূপৃষ্ঠের অনেক পরিবর্তন দেখা দেবে। Intergovernmental Panel of a Climate Change (IPCC)-এর সমীক্ষায় বলা হয়, বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে পরবর্তী প্রতি দশকে ৩.৫ থেকে ১৫ মিলিমিটার সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে পারে। এমনকী ২১০০ সাল নাগাদ তা ৩০ সেন্টিমিটার থেকে ১০০ সেন্টিমিটারে পৌঁছতে পারে।
জলবায়ুর পরিবর্তন ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বন্যা, খরা, নদীপ্রবাহের ক্ষীণতা, পানিতে লবণাক্ততা, সাইক্লোন, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদীভাঙনসহ নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জনবিপর্যয় ঘটবে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই এশিয়াসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এশিয়া মহাদেশের ১৩০ কোটি অধিবাসী হিমালয় পর্বতমালার হিমবাহগুলো থেকে সৃষ্ট পানির উৎসের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হিমবাহগুলো আশঙ্কাজনকহারে গলে যাচ্ছে এবং এতে মহাদেশের একটি বিশাল অংশ খরায় আক্রান্ত হতে পারে। এই অঞ্চলে তিন দশক ধরে প্রতি দশকে ০.১৫ থেকে ০.৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেড়েছে। জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্তসরকার প্যানেল (আইসিপিপি) সতর্ক করে জানিয়েছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যেই হিমালয়ের সব হিমবাহ গলে যেতে পারে।
এশিয়ার কয়েকটি দেশ জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে তাদের কেমন ক্ষতি হতে পারে তা প্রতিভাত করার লক্ষ্যে নানান ধরনের প্রদর্শনী ও উৎকণ্ঠা প্রকাশের কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। মালদ্বীপের সরকার ২০০৯ সালে সমূদ্র তলদেশে সভা করেছেন এবং মালদ্বীপ নামক একটি রাষ্ট্র জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের মানচিত্র থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে, এই সম্ভাবনাকে বিশ্ববাসীর কাছে পুনরায় তুলে ধরেছেন। তেমনিভাবে নেপালের প্রধানমন্ত্রী এভারেস্ট-এর পাদদেশে প্রচণ্ড শীতের মাঝে মন্ত্রী পরিষদের সভা করে জলবায়ুর ভয়াবহ প্রভাব সম্পর্কে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ইন্দোনেশিয়া, ফিজি, মরিসাস-এর মতো দ্বীপ রাষ্ট্রসমূহ তাদের বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে পানির মাত্রা বৃদ্ধির ফলে তাদের অবস্থান নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
কোপেনহেগেন সম্মেলন ২০০৯-এ বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও কর্মসূচি বাবদ ৭০,০০০ কোটি টাকার সহযোগিতা চেয়ে প্রকল্প বা কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন।
বাংলাদেশে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব
পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মেরু অঞ্চলের ও পর্বতের চূড়ার বরফ গলে গিয়ে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এভাবে তাপমাত্রা ও সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়তে থাকলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল সমুদ্রের জলে ডুবে যেতে পারে। সাগর থেকে নদীতে নোনা জল ঢুকে পড়তে পারে। ফলে কৃষিজমি এবং মিঠাপানির প্রাণী ও উদ্ভিদ ধ্বংস হয়ে যাবে। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন-বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় ঘন ঘন ঘটতে পারে। ফলশ্রুতিতে এ দেশের উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলে বসবাসরত মানুষ বাস্তুহারা হবে, নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হবে, স্বাদু পানি এলাকায় লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশ ঘটবে। শুধু তা-ই নয়, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের তাপমাত্রা ১.৫০ থেকে ২.০০ সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন বিশ্ব উষ্ণায়ন ও সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বাষ্পীভবনের হার বেড়ে গিয়ে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পাবে; বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে। ইতোমধ্যে সিডর-আইলার মতো ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়েছে বাংলাদেশ।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে করণীয়
কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ কমিয়ে বা কোনোভাবে এদেরকে বায়ুমণ্ডল থেকে সরিয়ে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধ করা যায় । কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোলিয়াম পোড়ানো কমিয়ে তার বদলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, যেমন-সৌরশক্তি, বায়ুপ্রবাহ, জৈব জ্বালানি পোড়ালে কার্বন ডাই- অক্সাইড গ্যাস নিঃসরণ কমে। তাই এগুলোর ব্যাপক ব্যবহার এখন একান্ত প্রয়োজন। বিদ্যুৎ, গ্যাস ইত্যাদি কম ব্যবহার করলেও কার্বন ডাই-অক্সাইড কম উৎপন্ন হয় । বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড কমানোর আরো একটি উপায় আছে। সেটা হলো গাছ লাগানো । কারণ গাছ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে খাদ্য তৈরি করে। ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড কমে আসে। তাই ব্যাপক হারে বৃক্ষ রোপণ এ ধ্বংসের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারে ।
[box type=”note” align=”” class=”” width=””]আরও পড়ুনঃ অনুচ্ছেদ – বৃক্ষ রােপণের প্রয়ােজনীয়তা[/box]
উপসংহার
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে বিশ্বব্যাপী প্রকৃতিতে যে বিরূপ প্রভাব পড়বে, সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ-খাওয়াতে সময়োপযোগী পদক্ষেপ অত্যাবশ্যকীয়। মানব বাসের এ পৃথিবীতে যাতে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে না আসে সেজন্য বিশ্বসংস্থাসহ প্রত্যেকটি দেশ সমস্যা মোকাবিলায় এগিয়ে আসবে- এটাই সবার প্রত্যাশা
[box type=”shadow” align=”aligncenter” class=”” width=””]শেষ কথাঃ
[tie_list type=”heart”]
- বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও বাংলাদেশ রচনা । বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রচনাটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই জানাবে। রচনাটি বিভিন্ন বই থেকে পয়েন্ট সংগ্রহ করে সহজ ও সুন্দরভাবে লেখা হয়েছে। তোমাদের উপকারে আসলেই এর সার্থকতা।
[/tie_list]
[/box]