
বিনোদনের হাজারো মাধ্যম আছে পৃথিবীতে। কিন্তু সেই বিনোদন অনেক সময় নির্মল হয় না। ভালো বইয়ের সান্নিধ্য মানুষের অশান্ত মনে এনে দিতে পারে স্বর্গীয় সুখ। বই হতে পারে আমাদের অবসর সময়ের সঙ্গী। পৃথিবীতে অনুপম শ্রেষ্ঠ আনন্দ কেবল বইয়ের মাঝেই খুঁজে পাওয়া যায়। বই পিপাসু মানুষদের কাছে বই মেলা আলাদা এক মাত্রা এনে দেয়। বই মেলা হল বিভিন্ন লেখকের বইয়ের প্রদর্শন যেখানে বই পিপাসু মানুষ পাড়ি জমায় তাদের পছন্দের লেখকের বই কিনার জন্য। দিন দিন বই মেলার জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। প্রতিবছর বাংলাদেশে ভিন্ন ভিন্ন নাম বই মেলা হয়ে থাকে। যার মধ্যে ঢাকা আন্তর্জাতিক বইমেলা অন্যতম।
প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে এ মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে এ মেলার স্থান আয়োজনের নির্দিষ্ট নয়। তাছাড়া অমর একুশে গ্রন্থ মেলা বা একুশে বই মেলা সারা ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে হয়ে থাকে। বাংলা ভাষার জন্য আত্মোৎসর্গের যে বীরত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে, সেই স্মৃতিকে অম্লান রাখতেই এই মাসে আয়োজিত এই বইমেলার নামকরণ করা হয় ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। বই মেলা বই পড়ার আনন্দকে বাড়িয়ে দেয়। বই মেলায় শত শত স্টল থাকে। সব ধরণের বইয়ের যেমন কল্পকাহিনী, পাঠ্য বই, নাটক, উপন্যাস, শিশুদের বই ইত্যাদি প্রদর্শিত হয়। স্টলগুলি গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য সুন্দর করে সজ্জিত করা হয়ে থাকে। পুরো অঞ্চলটি উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। বইপ্রেমীরা তাদের পছন্দের বইয়ের জন্য ভিড় করে স্টলগুলিতে। লেখকরাও নিয়মিত মেলায় যান। সেমিনার এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হয়। কখনাে বিশেষ প্রয়ােজনে, কখনাে বা শুধুই মনের খােরাক জোগাতে মানুষ ছুটে যায় বই মেলায়। বইমেলা একটি দেশের সাংস্কৃতিক মনোভাব তুলে ধরে। এটি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিবর্তন করে এবং আমাদের জ্ঞান অনুষদকে প্রশস্ত করে। বইমেলা এই বার্তাটি ছড়িয়ে দেয় যে বই সেরা বন্ধু এবং সহযোগী। একঘেয়ে ক্লান্ত জীবনে বই এনে দিতে পারে সজীব প্রাণস্পন্দন।
ওয়াও