প্রতিবেদন লিখন

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমরা সবাই প্রতিবেদন লিখন শব্দটির সাথে পরিচিত। বাংলা ২য় পত্রে প্রতিবেদন লিখন নামে একটি অধ্যায় রয়েছে। সমাজে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় ও সমস্যা এইগুলোই প্রতিবেদনে বেশি থাকে। প্রথমে আমরা জানবো প্রতিবেদন কী বা কাকে বলে। এরপর জানবো প্রতিবেদনের প্রয়োজনীয়তা, প্রতিবেদন লেখার নিয়ম এবং সবশেষে অনেকগুলো নমুনা প্রতিবেদন উপস্থাপন করব।

প্রতিবেদন কাকে বলে

ইংরেজি “Report” এর বাংলা হলো ‘প্রতিবেদন’। প্রতিবেদন হল কোন নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য অনুসন্ধানের বিবরণী। কোন সুনির্দিষ্ট ঘটনা, তথ্য বা বক্তব্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট বক্তব্য লিপিবদ্ধ করার নাম প্রতিবেদন। যিনি প্রতিবেদন রচনা করেন তাকে বলা হয় প্রতিবেদক।

প্রতিবেদনের প্রয়োজনীয়তা

জীবনে চলার ক্ষেত্রে নানাবিধ কাজে প্রতিবেদনের প্রয়ােজনীয়তা অপরিসীম। কিছু কাল আগেও প্রতিবেদন দ্বারা শুধু সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরকেই বুঝাত। তবে সম্প্রতি প্রতিবেদনের পরিধি অনেকখানি বেড়েছে। কোনাে বিষয়ে সচেতনত দৃষ্টি, যেমনঃ পরীক্ষায় দুনীতি, হাসপাতালে চিকিৎসার অনিয়ম, এইডস, এডিস অ্যাজিপটাই মশার উপদ্রব প্রভৃতি বিষয়ের ওপর রচিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনের মাধ্যমে এলাকার মানুষ বিভিন্ন সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেয়ে থাকে।

প্রতিবেদন লেখার নিয়মাবলি

প্রতিবেদন লেখার ক্ষেত্রে কতিপয় নিয়ম পালন করতে হয়। যেমনঃ

  • প্রতিবেদন তৈরির সময় একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামাে অনুসরণ করতে হয়। এই কাঠামাের অন্তর্ভুক্ত হলাে একটি শিরােনাম, প্রাপকের নাম-ঠিকানা, আলােচ্য বিষয়ের সূচিপত্র, বিষয়বস্তু, তথ্যপঞ্জি, স্বাক্ষর, তারিখ প্রভৃতি।
  • সঠিক তথ্য অবশ্যই উপস্থাপন করতে হবে। কেননা, এটিই হলাে একটি প্রতিবেদনের প্রাণ, যা প্রতিবেদককে পাঠকের কাছে গ্রহণযােগ্য করে তুলবে।
  • উপস্থাপিত বক্তব্য হতে হবে একেবারে স্পষ্ট, যেন মানুষ খুব সহজে তা বােধগম্য করতে পারে।
  • সুদীর্ঘ না করে প্রতিবেদনের দৈর্ঘ্য একটি সুনির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে আবদ্ধ রাখতে হবে।
  • প্রতিবেদনে কতিপয় সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। তবে তা হতে হবে অবশ্যই প্রাসঙ্গিক সুপারিশ।

প্রতিবেদনের নমুনা

Back to top button