প্রতিবেদন : এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সম্পর্কে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য প্রতিবেদন
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সম্পর্কে প্রতিবেদন |
এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য সম্পাদকের কাছে একটি পত্র লেখ।
এলাকায় সন্ত্রাসীর উপদ্রব সম্পর্কে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি পত্র লেখ।
তারিখ : ২৮ নভেম্বর ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ
বরাবর
সম্পাদক,
দৈনিক ভােরের কাগজ
৫০ ময়মনসিংহ রােড ঢাকা-১০০০।
জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত ও জনপ্রিয় “দৈনিক ভােরের কাগজ” পত্রিকায় পাঠানাে চিঠিপত্র কলামে নিম্নোক্ত সামাজিক সমস্যাভিত্তিক বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে প্রকাশপূর্বক যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য সবিনয় অনুরােধ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে আমার নাম প্রকাশ না করার জন্য বিনীত অনুরােধ করছি।
বিনীত
“খ”
মাটিডালি, বগুড়া।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, মাস্তানদের উপদ্রবে জনজীবন অতিষ্ঠ
মাটিডালি বগুড়া জেলার অন্তর্ভুক্ত একটি জনবহুল এলাকা। এখানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের বাস। সম্প্রতি এলাকাটি মাস্তানদের দৌরাত্মে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এলাকার শান্তিপ্রিয় সাধারণ জনগণ আজ অসহায়। সত্যিকার অর্থে, মাস্তানদের কাছে তারা জিম্মি। উঠতি বয়সী ছেলেরা এখানে বেপরােয়া জীবনযাপন করছে। তারা পাড়ার যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে জটলা পাকায় অশােভন অঙ্গভঙ্গি করে এবং নানাপ্রকার আপত্তিকর মন্তব্য ছােড়ে। তারা প্রায় প্রতিদিনই মারামারি আর ঝগড়া-ফ্যাসাদে লিপ্ত থাকে। দোকান ভাংচুর, হােটেল ভাংচুর এ এলাকার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
এখানকার বাসিন্দারা তাদের ভয়ে সবসময় তটস্থ থাকে। সন্ধ্যার পর প্রায় প্রতিদিনই এখানকার রাস্তা-ঘাটে প্রায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। অস্ত্র ঠেকিয়ে তারা ঘড়ি, অর্থ, ব্যাগ ছিনতাই করে। বিভিন্ন অজুহাতে মাঝে মাঝে তারা চাঁদা ওঠায়। যারা চাঁদা দিতে চায় না, তাদেরকে তারা বেদম মারধর করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সম্প্রতি তারা এক ঠিকাদারের কাছ থেকে মােটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে এবং না দেওয়ায় ঠিকাদারের বাসার জিনিস-পত্র ভাংচুর করে। জীবনের ভয়ে তিনি অভিযােগ তাে দূরের কথা, টু শব্দটিও করেননি।
রাতে যেখানে-সেখানে তারা আড্ডা বসায়। রাত ১০টার পর কোন ভদ্রলােক রাস্তা দিয়ে হেটে যেতে পারেন না। সন্ধ্যায় যখন লােডশেডিং হয়, তখন তারা উৎসব জমায়। এলাকাটি ক্রাইম জোন হিসেবে পরিচিত। ইতঃপূর্বে পত্রিকায় অনেক খবর ছাপানাে হয়েছে। কিন্তু কোনাে প্রতিকার হয়নি। বরং সংবাদ ছাপানাের পর তাদের অত্যাচারের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। তাই এলাকার জনগণ মুখ বুঝে সব সহ্য করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
বিনীত
মাটিডালি, বগুড়া।