কর্মমুখী শিক্ষা অনুচ্ছেদ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ শ্রেণি।
কর্মমুখী শিক্ষা
প্রায় দীর্ঘ দুই শতাব্দীকাল ধরে আমাদের এ দেশ ব্রিটিশ শাসনাধীন ছিল। সে সময় ব্রিটিশ শাসকগােষ্ঠী তাদের নিজেদের স্বার্থে এদেশে একটা শিক্ষাব্যবস্থা চালু করে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এ শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে।
প্রচলিত এ শিক্ষাব্যবস্থা মেধা ও মননে তেমন কোনাে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। উক্ত শিক্ষাব্যবস্থায় ডিগ্রি অর্জন করা যায় যে ডিগ্রিতে বড়জোর একজন কেরানি হওয়া যায়। এদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এর তেমন ভূমিকা নেই বললেই চলে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় হলাে কর্মমুখী শিক্ষার প্রচলন। এদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে অনেক আগে থেকেই কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা অত্যাবশ্যক ছিল। কিন্তু পাকিস্তানি বর্বর শাসন ও স্বাধীনতা পরবর্তী স্থিতিশীল সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় আজও এদেশে কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়নি। ইতােমধ্যে সরকার তিন পর্যায়ে কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থা চালু করেছে। যথাঃ সার্টিফিকেট পর্যায়, ডিপ্লোমা পর্যায় ও ডিগ্রি পর্যায়। এ পর্যায় তিনটির প্রথমটিতে দক্ষ কারিগর ও কর্মী, দ্বিতীয়টিতে টেকনিশিয়ান, তৃতীয়টিতে প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ তৈরি করার প্রয়াস চালানাে হয়। বাংলাদেশের প্রয়ােজন সকলের নিয়ােজিত প্রতিষ্ঠানগুলাে পরিচালনা করে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। এদেশে কর্মমুখী শিক্ষা পালনের জন্য প্রয়ােজন সকলের সমন্বিত প্রয়াস। বাংলাদেশের পুরান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়ি মেরামতের দোকানসহ বিভিন্ন ছােট কারখানায় ওস্তাদের অধীনে থেকে যেসব মেকানিকরা কাজ করে নিজেদের দক্ষ কারিগরে রূপান্তরিত করছে তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার আওতায় আনা হলে তারাও হতে পারে উচ্চমানের মেকানিক বা যন্ত্রপ্রকৌশলী।
thanks
আপনাকেও ধন্যবাদ।