বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয় থেকে তিনি কোন শিক্ষা গ্রহণ করেননি। তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল গৃহশিক্ষক রেখে। বাল্যকাল থেকেই কবিতা লিখার আগ্রহ ছিল কবিগুরুর। তার কবিতা লিখা শুরু হয় আট বছর বয়স থেকেই। তার প্রথম কবিতা “অভিলাষ” প্রকাশিত হয় ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায়। মাত্র সতেরো বছর বয়সে ১৮৭৮ সালে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড যান। ১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯০১ সালে পশ্চিমবঙ্গে তারই হাতধরে প্রতিষ্ঠিত হয় শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম। ১৯০২ সালে তার বৈবাহিক জীবনরে অবসান ঘটে। পরে ১৯০৫ বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে তিনি নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার দ্বারা নাইট উপাধি পেলেও পরে তা ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদের কারনে কেড়ে নেওয়া হয়। ১৯১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে ১৯২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতিতে বিশ্বভারতীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। বর্ষীয়ান এই কবি গ্রামের উন্নয়নের জন্যে ১৯২১ সালে শ্রীনিকেতন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
৭ই আগস্ট, ১৯৪১ [২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ] সালে সাহিত্যে নোবেল পাওয়া এই বরেণ্য কবি দীর্ঘ কাল রোগেভোগের কারণে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি কলকাতাতে তার মৃত্যু হয়।
এক নজরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জন্ম: ৭ই মে, ১৮৬১ [২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দ ]
জন্মস্থানঃ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, কলকাতা, ভারত
মৃত্যু: ৭ আগস্ট ১৯৪১ [২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ ] (বয়স ৮০)
সমাধিস্থল: কলকাতা
পেশা: কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক
ছদ্মনাম : ভানুসিংহ ঠাকুর (ভণিতা)
নাগরিকত্ব: ব্রিটিশ ভারতীয়
পুরস্কার: নোবেল (সাহিত্য) সাল ১৯১৩
পিতাঃ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮১৭–১৯০৫)
মাতা: সারদাসুন্দরী দেবী (১৮২৬–১৮৭৫)
জীবনসঙ্গী: মৃণালিনী দেবী (বিবাহ ১৮৮৩–১৯০২)